কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কালোজিরা খাওয়ার অনেক নিয়ম আছে। আমরা সকল কিছু জানি না।কালোজিরার উপকারিতা আছে ঠিক তেমন অপকারিতা আছে। আপনারা যে সকল উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান।তাহলে আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক উপকৃত হতে পারে। 

         ফিচার ইমেজ -০১




আপনারা অনেকে কালোজিরা সম্পর্কে জানেন না। সে সকল উপকারিতা ও অপকারিতার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কালোজিরা সকলের শরীরের জন্য উপকারী। সকল বিষয়ে জানতে এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে অনেক উপকারিতা হতে পারেন নিচপ বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। 

পেজ সূচিপত্রঃকালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

কালোজিরা উপকারিতা ও অপকারিতা 

কালোজিরা একটি মৌসুমী গাছ মাঝারি আকৃতির। কালোজিরার একবার ফুল ও ফল হয় এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sative Linn। কালোজিরার অনেক উপকার রয়েছে এ তেমন অপকার রয়েছে। কালোজিরা যা একটি আরবি নামে হাব্বাতুস সওদা।একটি খাদ্য যা স্বাস্থ্য এর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। শরীরের অনেক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কালোজিরা মানুষ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার করে আসছে। 

কালোজিরা সাধারণ মসলা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।এর গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এর গুনাগুন  সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। কালোজিরা অনেক উপকারী একটি উপাদান যার মধ্যে ওষুধি গুণাগুণ আরো অনেক রান্নার মসলা কবিরাজি অনেক ধরনের হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কালোজিরা পাঁচফোড়ন মসলার একটি অন্যতম উপাদান। 

কালোজিরায় কি আছে 

আলো জেলায় অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে।কালোজিরা  স্বাস্থ্য  পুষ্টি এবং ঔষধি গুনের সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও শক্তিশালী আন্টি-অক্সিডেন্ট যা প্রদাহ কমায়, রক্তস্রাব ও শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে আরো অনেক উপাদান রয়েছে এর মধ্যে থাইমকুইনন,নিজেলন,টইরোসিন,লিনোলিক এসিড,ফাইবার ও ভিটামিন এবং খনিজ।এগুলোর নিচে বর্ণনা দেওয়া হলঃ

থাইমোকুইননঃ একটি আন্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ।
নিজেলনঃ একটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল যৌগ। 
টাইরোসিনঃ যা একটি অ্যামিনো এসিড যা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
লিনোলিক এসিডঃ একটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 
ফাইবারঃ হজম উন্নত করতে এবং কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 
ভিটামিন এবং খনিজঃ ক্যালসিয়াম,আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ভিটামিন এ,ভিটামিন বি৬ আরো অনেক কিছু। 

কালোজিরার পুষ্টি উপাদান 

কালোজিরা অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যার বিভিন্ন রোগ ব্যাধি নিরাময় সহায়তা করে থাকে। কালোজিরা দিয়ে তেল তৈরি করা যায়। ওই তেল ব্যবহার করে অনেক উপকার রয়েছে। কালোজিরা তেল এখন বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। কালোজিরার পুষ্টি উপাদানের জন্য রোগ নিরাময় হয় কবিরাজিও ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে।কালোজিরায় রয়েছে ক্যারোটিন যা মানব দেহের ক্যান্সারের মতো মরণ রোগ নিরাময়ে সহায়তা করতে সক্ষম। 

কালোজিরায় ছোট ছোট বীজের মধ্যে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম কালোজিরার মধ্যে প্রধান পুষ্টি উপাদান হলোঃ
ক্যালোরি ৩৪৫ থেকে ৩৫০, প্রোটিন ১৭ থেকে ২১ গ্রাম, ফ্যাট ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৪ থেকে ৫ গ্রাম, মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ১৪ থেকে ১৬ গ্রাম, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ৫৮-৬০%,কার্বোহাইড্রেট ৩৮ থেকে ৪২ গ্রাম, আহার যোগ্য ফাইবার ৫ থেকে ৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৮ আইইউ, ভিটামিন বি১- ০.৪গ্রাম, ভিটামিন বি২-০.১১গ্রাম, ভিটামিন বি৩- ৪.৫গ্রাম, ভিটামিন বি ৬- ০.৫গ্রাম, ফোলেট ৬০ থেকে ৭০ মাইক্রগ্রাম, ভিটামিন সি ২১-২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ৩.৩মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৫০ থেকে ৩৭০ মিলিগ্রাম, আইরন ৯থেকে ১২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৫০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম,  ফসফরাস ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৮৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক ৫ থেকে ৬ মিলিগ্রাম। 

কালোজিরার উপকারিতা 

কালোজির আপনারা সকলে হয়তো খেয়ে থাকেন। এর সকল উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। আপনাদের জন্য নিচে উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব। কালোজিরায় অনেক ঘরোয়া উপায়ে শরীরের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বিভিন্ন ও সমস্যাতে সহায়তা করে থাকে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

সর্দি কাশিঃ আমাদের সর্দি কাশি হয়ে থাকে অনেক সময়। তার জন্য আমরা কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারি। যারা সর্দি কাশিতে ভুগছেন তারা নিয়ম করে চা চামচের কালো জিরা তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে তিন বেলা খেতে থাকবেন। এছাড়াও কালোজিরা তেলের সঙ্গে মধু এবং তুলসী পাতার রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে দ্রুত সর্দি কাশি নিরাময় করে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ কালোজিরা রোগ প্রতিরোধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কালোজিরায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ও ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা শরীরের সতেজ ক্ষমতা বজায় রাখে। কালোজিরা আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে সেবন করা উচিত।। 

চুল পড়া রোধেঃ চুল পড়া রোধ করতে কালোজিরা অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আমরা বাজারে যে তেল কিনে ব্যবহার করি তাতে সব উপাদানের মধ্যে এ কালোজিরা একটি অন্যতম উপাদান। কালোজিরায় চুলের গোড়া মজবুত এবং পুষ্টি যোগায়। যার ফলে চুল পড়া রোধ হয় এবং  কালোজিরার তেল আমাদের নিয়মিত ব্যবহার করা উত্তম।। 

দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তিঃ কালোজিরা দাঁতের ব্যথা কমাতে অনেক ভূমিকা পালন করে। উষ্ণ গরম পানিতে কালোজিরা ভিজিয়ে রেখে ওই পানি কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালোজিরা পানি মুখের ভেতরে থাকা জীবাণু সহজেই দূর করে ফেলতে পারে। যার কারনে দাঁতের ব্যথার মতো সমস্যার সমাধান করে থাকে।

পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানেঃ মেয়েদের জন্য পিরিয়ড অনেক উপকারী যার ফলে সন্তান প্রসব করতে সক্ষম হয়। তবে অনেকের অনিয়মিতভাবে পিরিয়ড হয়। অনিয়মিত পিরিয়ড এ ভুগছেন তার থেকে মুক্তির জন্য কাঁচা হলুদের রসের সাথে কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করুন। নিয়মিত সেবন করার ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

কালোজিরার অনেক উপকারিতা থাকার জন্য বাজারে বিভিন্ন বিস্কেট অনেক ড্রাইফুডের মধ্যেও দেওয়া থাকে। বিভিন্ন খাবার রুটি এরপর সিংগারা অনেক কিছুতেই কালোজিরা ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনাদের নিয়ম করে প্রতিদিন কালোজির আসেবন করা চেষ্টা করবেন। 

কালোজিরার অপকারিতা 

কালোজির আর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা ও রয়েছে। তাই আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাণ মতো খেতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের বিভিন্ন দিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অপকারিতা সম্পর্কে নিচে দেখে নিন।

কালোজিরা অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহারের ফলে ক্ষতি হয়। কালোজিরা তেল অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের ফলে এলার্জি হতে পারে। সেজন্য পরিমাণ মতো ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরের রক্ত জমাট বাধা কমে যেতে পারে। যার ফলে রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে  রক্তে শর্করা পরিমাণ কম হয়ে যেতে পারে। কালোজিরার পরিমান অতিরিক্ত খেলে আরো অনেক  ক্ষতি হয়ে থাকে বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস রোগী তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ কালোজিরা খাওয়া ভালো না শরীরের জন্য নিয়ম করে প্রতিদিন খাবেন। 

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম 

কালোজিরা আমাদের নিয়ম অনুসারে খাওয়া উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কালোজিরা খাওয়ার জন্য কিছু সহজ এবং কার্যকর নিয়ম রয়েছে। সাধারণভাবে সকালে খালি পেটে কালো জিরা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়।কারণ ওই সময় দেহে সতেজ পুষ্টিগুণ শোষণ করতে পারে। খাওয়ার আগে কালোজিরা গুড়া করে মধু সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ক্ষমায় এবং হজমে সহায়তা করে। চাইলে কারো জিরা ভিজিয়ে রেখে বা চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস গরম পানি পান করা যায়। অনেকেই কালোজিরার তেল ব্যবহার করেন। 

কালোজিরার তেল ব্যবহার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে করা যেতে পারে। প্রতিদিন ১ চা চামচ তেল খালি পেটে মধু সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও কালোজিরা গুড়া দুধ বা লেবু পানির সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায় যা পেটের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিক কমাতে সহায়ক। কালোজিরা রান্নার মসলা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। যেমন ডাল সবজি বা মাংস রান্নায় ১/৪ চা চামচ পরিমাণ মিশিয়ে। গর্ভবতী নারীদের ও যাদের ঔষধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কালোজিরা খাওয়া উচিত। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্যসম্মত। 

কালোজিরার বিশেষত্ব 

কালোজিরার অনেক গুনা গুন রয়েছে বলেই আমরা অনেকে ভাবেই  অনেক কিছুতে ব্যবহার করে থাকি।কালোজিরার বিশেষত্ব মূলত এর বহুবিধ গুনে নিহিত। এই ছোট কালো বীজটি বহুযুগ ধরে আয়ুর্বেদ, ইউনানী ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। এসব যে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এটি প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কালোজিরা শরীরের অনেক উপকার করে থাকে তাই এর বিশেষত্ব রয়েছে। 

কালোজিরায় থাকা থাইমোকুইনন নামক উপাদানটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ভরপুর, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি হজম শক্তি বাড়াতে,শ্বাসকষ্ট ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে, ত্বক ও চুলের যত্নে বিশেষ কার্যকর। নিয়মিত ও পরিমিত ব্যবহারে কালোজিরা একটি প্রাকৃতিক টনিক হিসেবে কাজ করে। ওষুধ ছাড়ায় দেহকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এই উপকারিতার গুলোর জন্য ওই কালোজিরা কে বলা হয় সব রোগের দাহই মৃত্যু ছাড়া। যা এর বিশেষত্বকে আরো দৃঢ় ভাবে তুলে ধরে। 

কালোজিরার তেল তৈরি করার নিয়ম 

কালোজিরা দিয়ে আপনারা ঘরে বসে তেল তৈরি করতে পারবেন। কালোজিরার তেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বাইরের ভেজাল জাতীয় না কিনে ঘরে বসেই তৈরি করতে পারি। কালোজিরা তেল ঘরেই সহজ উপায়ে তৈরি করা যায় এবং পুষ্টি সম্পন্ন প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। প্রথমে পরিষ্কার ও শুকনো কালোজিরা বীজ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর হালকা আচেঁ এগুলো সামান্য ভেজে নিতে হয় যাতে গন্ধ ও কার্যকারিতা আরো বাড়ে। ঠান্ডা হয়ে গেলে কালো জিরার বিষগুলো ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিতে হবে। 

এবার একটি কাছের বোতলে ওই গুড়ো করা বীজ ভরে তার মধ্যে পরিমাণ মতো ঠান্ডা ফ্রেশ কড়া নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা তিলের তেল ঢালতে হবে। বোতলটি ভালোভাবে বন্ধ করে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত রোদে রেখে দিতে হবে। দিনে একবার করে ঝাঁকিয়ে দিতে হবে যেন তেলের সঙ্গে বীজের গুনাগুন মিশে যায়।নির্দিষ্ট সময় পরে ছেঁকে নিয়ে বিশুদ্ধ কালোজিরা তেল ব্যবহার করা যায়।  ওই তেল ত্বক, চুল এবং অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী। ঘরে বানানো এই তেল কোন কেমিক্যাল না থাকায় এটি স্বাস্থ্যসম্মত। 

কালোজিরার সতর্কতা 

কালোজিরা আমাদের সতর্কতা মেনে ব্যবহার করা উচিত। কারণ অনেক সময় অনেক রকম ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। যদিও কালোজিরা একটি প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপকারী উপাদান, তবুও এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত মাত্রায় কালোজিরা বা এর তেল গ্রহণ করলে হজমের সমস্যা, বমি বমি ভাব বা এলার্জির মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের  সতর্কতার সাথে কালোজিরা তেল বা কালো জিরার নিয়ম করে খাওয়া উচিত। 

বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের সমস্যা রয়েছে, তাদের খালি পেটে কালো জিরা খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীরা কালোজিরা গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এটি জরায়ু সংকোচনে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া যারা নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ তাদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল গ্রহণ করা নিরাপদ নাও হতে পারে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন ভাবে এবং পরিমিত মাত্রায় কালোজিরা গ্রহণ করায় বুদ্ধিমানের কাজ।

লেখকের মন্তব্যঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা উপকারিতা রয়েছে। কালোজিরায় যেমন উপকারিতা ও রয়েছে তেমন অপকারিতাও রয়েছে। কালোজিরা আমাদের নিয়ম করে সঠিক নিয়ম জেনে প্রতিদিন পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি উপকারিতা ও অপকারিতা  সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সতর্কবার্তা জানতে পারবেন। আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে সবকিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে। তাহলে আপনি আপনার সহপাঠী আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন। ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন তাহলে আর ও নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএস সুমাইয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url