সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে

অতিরিক্ত ওজন নিয়েও অনেকে চিন্তায় থাকে আবার অনেকেই থাকে শরীরের স্বাভাবিক এসে ওজন কম থাকে। ওজন বাড়ানোর জন্য সকলেই কত কি করে আপনারা ওজন বাড়ানোর জন্য এই আর্টিকেলের সব কিছু জানতে পারবেন


          
                ফিচার ইমেজ-01




ওজন বাড়ানো নিয়ে আর নয় চিন্তা। আপনারাই আর্টিকেল এর মাধ্যমে অনেক নিয়ম জেনে যাবেন। ওজন বাড়ানোর জন্য কি খাওয়া উচিত এবং কখন কি  খাওয়ায় উপকার বেশি সকল কিছু জানতে পারবেন।এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন সবকিছু। 

পেজ সূচিপত্রঃসকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে 

সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে 

সকালে খালি পেটে খাবার খাওয়াই শরীরের ওজন  বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সাহায্যকারী। খালি পেটে খাবার খেলে সেই খাবার আমাদের শরীরে খুব দ্রুত শোষণ হয়। সারারাত না খেয়ে  থাকার পর যখন সকালে খাবার খাওয়া হয় সেই খাবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের সকলের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার সবকিছু দেখেশুনে আমাদের খাওয়া উচিত। 

শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য অনেকেই ভুগছে। শরীরের ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে না বলে অনেকেই চিন্তিত। খালি পেটে ফ্যাট জাতীয় কিছু খাবার খেলে খুব দ্রুত কাজ করে। অসময়ে খাবার খাওয়াই শরীরে এর জন্য আস্তে আস্তে ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে। মিষ্টি বা চিনি  এমন খাবার খেলে এতে ফ্যাট একটু বেশি হয়। সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের ওজন আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এমন জাতীয় কিছু খাবার খাওয়া উচিত। 

খালি পেটে খাবার খেলে এসব খাবার অনেক সময় শক্তি হিসেবে না হয় এ ফ্যাট বাড়ায়। শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট ভালো না।শরীরে শক্তিরও প্রয়োজন আছে তাই আমাদের ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু ফ্যাট জাতীয় খেলে হবে না। আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে শরীরের ওজন ও বৃদ্ধি করে এবং শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি করে। 

ওজন বাড়ানোর ব্যায়াম 

শরীরে স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের সকলের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম মানেই যে শুধু শরীরের ওজন কমায় তা কিন্তু নয়। ব্যায়াম আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করাটা আমাদের জন্য অনেক স্বাস্থ্যবান। ব্যায়াম এমন একটা জিনিস যেটা আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে এবং কমাতে দুইটাতে সাহায্য করে। যে কয়েকটি ব্যায়ামের নাম দেওয়া হল -

1. Pushup
2.Pullup
3.Plank
4.Squat

উপরের কয়েকটি ব্যায়াম আপনারা করতে পারেন। এগুলো আপনি বাসায় বসে থেকেও করতে পারবেন তার জন্য জিমে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলে এগুলো ইউটিউবে এ সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন।আপনাদের মনে হতে পারে ব্যায়াম করলে তো চিকন হয় ওজন কমে যায়। নয় এটা ঠিক নয়। ব্যায়াম শরীরে শক্তি এবং ওজন দুইটা ঠিক রাখে। ওজন কমে যেমন ঠিক তেমন ওজন বাড়েও। আমাদের উচিত নিয়মিত ব্যায়াম করা। শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের ক্যালরির অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে চর্বি জমার সম্ভাবনা কম থাকে। যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকেন। ব্যায়াম আমাদের শক্তি বাড়ায় এবং সুস্বাস্থ্য করে তোলে তাই  আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। 

ওজন বাড়ানোর খাবারের পরিমান

আমাদের ওজন বাড়ানোর জন্য সকলকে একটা ডায়েট চার্ট করে নিয়মিত খাওয়া উচিত। কিন্তু সবাই চাট অনুযায়ী খেতে পারে না। আমাদের প্রতিদিন যে খাবারগুলো খায় সেগুলোর সাথে কিছু ডায়েট শাট অনুযায়ী খাওয়া উচিত যে গুলা পরিমাণ মতো। ওজন বাড়ানোর জন্য খাবারের পরিমাণটা ঠিক রাখা আমাদের জন্য জরুরী। সবাই হতো সেই খাবার অনুযায়ী খেতে পারে না। 

আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি ভালো না। সকলকেই খাবার পরিমান করে খাওয়া উচিত তাহলে দ্রুত ওজন বাড়তে পাড়ে।কিছু খাবারের পরিমাণ নিচে দেওয়া হবে আপনারা দেখে নিয়েন। আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাণ  মতো ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে শরীরে চর্বি জমা বাঁধতে পারে।নিচে কিছু খাবারের পরিমাণ বিস্তারিত দেওয়া হল -

সকালের খাবারের সাথে যা যোগ করবেন 
১কাপ দুধ (২৪৪গ্রাম) -১৪৬ ক্যালোরি 
১টা মাঝারি কলা (১১৮ গ্রাম) -১০৫ ক্যালোরি 
১টা ডিম (৫০ গ্রাম) -৭১.৫ ক্যালোরি 
১০০ গ্রাম খেজুর -২৭৭ ক্যালোরি 

দুপুরের খাবারের সাথে রাখতে পারেন 
১কাপ রান্না করা ডাল (১৯৮ গ্রাম) -২৩০ ক্যালোরি 
১কাপ টক দই (২৪৫ গ্রাম) -১৪৯ ক্যালোরি 

বাদাম ও কিসমিস 
১আউন্স কাজুবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) -১৫৭ ক্যালোরি 
১আউন্স কাঠবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) -১৬৪ ক্যালোরি 
১আউন্স চিনা বাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) -১৬১ ক্যালোরি 
১আউন্স কিসমিস (২৮.৩৫ গ্রাম) -৮৪.৮ক্যালোরি 

বীজ 
১আউন্স মিষ্টি কুমড়ার বিচি (২৮.৩৫গ্রাম)-১৬৩ ক্যালোরি 
১আউন্স সূর্যমুখী বিচি (২৮.৩৫গ্রাম) -১৭৫ ক্যালোরি 
১আউন্স তিলের বীজ (২৮.৩৫গ্রাম) -১৬১ ক্যালোরি 

নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন খাবার পরিমাণ করে খাবেন। প্রতিদিন যেন খাবারের পরিমাণ ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি হয়। এর চেয়ে বেশি ক্যালরি হয়তো দ্রুত ওজন বাড়ায় কিন্তু শরীরে চর্বি জমাট বাঁধায়। শরীরের ওজন আস্তে আস্তে ধীরে বাড়ায় উত্তম। দ্রুত ওজন বাড়লে শরীরে আমার সম্ভাবনা থাকে। 

ডায়েট শার্ট ওজন বাড়ানোর

ওজন বাড়ানোর জন্য একটি ডায়েট চার্ট প্রয়োজন।ডায়েট শার্ট অনুযায়ী খাবার খেলে ওজন বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে। ডায়েট চার্টের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার থাকে যা আপনাদের শরীরের জন্য অনেক স্বাস্থ্যবান। নিচে কিছু খাবারের ডায়েট চার্ট দেওয়া হবে। কখন কি খাবার খেতে হবে এবং কোন খাবারে কি উপকারিতা আছে তা বিস্তারিত দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। পায়ের চারটি আপনি চাইলে নিজের মত করে নিতে পারেন। নিচে বিস্তারিত দেখে নিন

সকালের নাস্তাঃওজন বাড়ানোর জন্য সকালের রাস্তার সাথে যা যা রাখবেন,তার মধ্যে রয়েছে দুধ, কলার, ডিম ও খেজুর। 
দুধঃদুধ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি-১২ থাকে। দুধে প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। দুধের ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় ও দাঁতের জন্য অনেক উপযোগী এবং ভিটামিন বি-১২ রক্তশূন্যতা ও রক্ত তৈরির কাজে সাহায্য করে। দুধ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।  প্রতিদিন অন্তত দুই গ্লাস করে দুধ খাওয়া উচিত। তাই দুধ সকালে নাস্তার পাশাপাশি যেকোন খাবারের সাথে এক গ্লাস করে খাওয়া। 
আরো পড়ুনঃ বাদাম ও কিসমিস

ডিমঃডিম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী খাবার। ডিমকে প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন বলা হয়। ডিমে এ ক্যালসিয়াম ও মিনারেল অনেক উপকার রয়েছে তাই ডিম আমাদের শরীরের জন্য অনেক জরুরী। ডিম যে শুধু সকালে নাস্তা খেতে হবে এমন তা নয়। ডিম যে কোন খাবারের স্বাদ এ খাওয়া যায় কিন্তু উচিত অন্তত দিনে একটা করে ডিম খাওয়া। ডিমে জিঙ্ক নামক একটা মিনারেল রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ওদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিম খাওয়ার ফলে  আমাদের শরীরের শক্তি  বৃদ্ধি পায়। ডিম আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করে। ডিমে থাকা ভিটামিন আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ত্বকের সুস্থ ও সুন্দর রাখে।

কলাঃকলা আমাদের শরীরে শক্তি জোগাতে অনেক সাহায্য করে। কলায় ভিটামিন বি -৬আছে যা ক্ষমতা বাড়াতে  সাহায্য করে । কলা যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা খেয়ে হজমে  সাহায্য করে হাটে ঝুঁকি কমায়। কলা সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।  কলা খাওয়ার কোন ঝামেলা নাই তাই আমাদের প্রতিদিন যে কোন সময় চাইলে এ কলা খাইতে পারেন। কলা আমাদের শরীরের ওজন বাড়ায় ও শক্তি এই বৃদ্ধি করে। আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে। 

খেজুরঃখেজুর আমাদের শরীরের পুষ্টিগুণের ফল। আমাদের প্রতিদিন কয়েকটা  করে খেজুর খাওয়া। খেজুরে অনেক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম এর জন্য আমাদের হার ও দাঁতের জন্য অনেক উপকার। খেজুরের ফাইবার আঁশ থাকে হজমে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এ হার্টের রোগ কমাতে ভূমিকা রাখে।   ওজন বৃদ্ধিতে খেজুর এর ভূমিকা অনেক। সকালের নাস্তার সাথে প্রতিদিন কয়েকটা পরে খেজুর খাওয়া উচিত স্বাস্থ্যের জন্য উন্নতি হবে।

দুপুরের খাবারঃদুপুরে আমরা অনেকে শুধু ভারী খাবার খাই। কিন্তু শুধু ভারী  খাবার খেলে হবে না পরিমাণ মতো ও স্বাস্থ্যবান শরীরের ভালোর জন্য খাবার খেতে হবে।যেমন ডাল, টক দই,মুরগির মাংস ও ভাত ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে।  

মুরগির মাংসঃদুপুরের খাবার এ মুরগির মাংস ও রাখা যায়। আপনি আগে হয়তো এক টুকরা মুরগির মাংস খেতেন কিন্তু ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই দুটো মাংস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মুরগির মাংস এ অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত কিছু থাকে না। অনেকেই হয়তো আপনাকে গরুর মাংস খাসির মাংস খেতে বলবে। গরু মাংস খাসির মাংস তে ওজন বাড়তে পারলেও এতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার থাকায় শরীরে অস্বাস্থ্যকর ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনাকে পরিমাণ মতো গরুর মাংস খাসির মাংস খেতে হবে। তাই ওজন বাড়ার পরে ক্ষেত্রে মুরগির মাংস খেতে পারেন।গরু খাসির মাংস তে প্রোটিন আস্ত মুরগির মাংস,ডিম,ডালে অনায়াসে ওই প্রোটিন চলে আসবে। 

ডালঃডাল পুষ্টিকর একটি খাবার। মুরগির মাংস গরুর মাংস খাসির মাংসের যেমন প্রোটিন রয়েছে ঠিক তেমন ডালেও প্রোটিন রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন বা আমিষ আছে। ডালে এছাড়াও আয়রন পটাশিয়াম ম্যাঙ্গারিজ সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান  রয়েছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। পাতলা ডালের তুলনায় ঘন ডাল খাওয়া ভালো। আমাদের পেটের ভেতর কোটি কোটি জীবাণু থাকে এর মধ্যে অনেকজীবাণু আছে  আমাদের শরীরে সুস্থ রাখে।ডাল এর প্রোটিন বা আমিষ স্বাস্থ্যবান খাবার হিসেবে খেতে পারেন। 

টক দইঃটক দই অনেক উপকারী একটি খাবার। দুপুরের খাবার শেষে টক দই এক বাটি খাওয়া যেতে পারে। টক দই যেহেতু দুধ দিয়ে বানানো হয় সেহেতু অনেক উপকারী উপাদান। টক দই সুস্থ রাখে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। মিষ্টি দই খাওয়ার থেকে টক দই খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো। মিষ্টি দই এ অনেক পরিমাণে চিনি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু টক দই এ চিনি পরিমাণ কম থাকে বা চিনি থাকে না দুধ দিয়ে বানানো হয় থাকে তাই এতে অনেক পুষ্টি থাকে। 

রাতের খাবারঃরাতের খাবার সব সময় হালকা কিছু রাখতে হয়, রাতে অত ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়। রাতে ভারী খাবারের থেকে রাতে ফলমূল,বাদাম, কিসমিস এসব খাওয়া উচিত। কিন্তু ওজন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন হলে কিছু ভারী খাবার সাথে এড করে খাওয়া যেতে পারে। 

হালকা নাস্তাঃ
 বাদামঃওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম একটি অনেক উপকারী। বাদামে অনেক ধরনের পুষ্টি রয়েছে ভিটামিন ফাইবার রয়েছে। চিনা বাদাম,কাঠবাদাম,কাজু বাদাম,পেস্তা বাদাম  আপনি আপনার সুবিধা মত যে কোন বাদাম খেতে পারেন।বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে।তাই ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে পারতাম অনেক উপকারী। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে দুপুর ও রাতের খাবারের পর বাদাম খাওয়া যায়। বাদামের কোন ফরমালিন যুক্ত থাকলে সেই বাদামগুলো শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর।  তাই বাদাম কেনার সময় দেখে সোনা কিনতে হবে। 

কিসমিসঃকিসমিস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।আপনারা বাদামের সাথে কিসমিস মিশ করে খেতে পারেন। আঙ্গুর শুকিয়ে কিসমিস বানানো হয় তাই কিসমিসে ভিটামিন আর মিনারেল থাকে।শুধু কিসমিস  অনেকের দাঁতে প্রবলেম হতে পারে তাই শুধু কিসমিস না খেয়ে বাদাম ও কিসমিস সাথে টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন। কিসমিস  খাবারের সাথে এড করে খেতে পারলে এতে ওজন বাড়ে। 

বিভিন্ন ধরনের বীজঃবীজ আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। বীজে অনেক পরিমান ক্যালরি থাকে তাই দ্রুত ওজন বাড়ে। মিষ্টি কুমড়ার বিচি, তালের বীজ,সূর্যমুখীর বিচি,তৃষির বীজ এসব বীজ ভাত বা তরকারির উপর হালকা করে ছিটিয়ে খেতে পারেন। এক এক ধরনের বীজে এক এক রকম পুষ্টি রয়েছে। 

যেসব খাওয়া উচিত নয় ওজন বাড়ানোর জন্য 

ওজন বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে সাগুদানা,কাস্টার্ড পুডিং এমন অনেক ধরনের খাবার রয়েছে। এসব খাবারের ওজন বৃদ্ধি করলেও শরীরের পুষ্টির অনেক ক্ষতি হয।আপনাদের সব সময় উচিত পুষ্টিকর খাবার স্বাস্থ্যবান খাবার খাওয়া যাতে শরীরের ওজন বাড়লে শরীরের কোন ক্ষতি না হয়।আপনাদের এর এমন সব খাবার খাওয়া উচিত যেগুলোতে পুষ্টি আছে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ওজন বাড়াতে হবে বলে যে কোন খাবার খেয়ে শরীরের ক্ষতি করা যাবে না। 

সাগুদানাঃসাগুদানায় শর্করা আছে। এতে ১০০ গ্রাম প্রোটিন থাকলেও এক গ্রামের চেয়ে কম ফ্যাট  রয়েছে।পরিমাণ বেশি থাকলেও ফ্যাট কম থাকা এই খাবার খাওয়া উচিত না। যেসব খাবার এ ভিটামিন ক্যালসিয়াম রয়েছে এমন খাবার খাওয়া উচিত।  সাগুদানায় ভিটামিন ও মিনারেল পরিমাণ  খুবই নগণ্য। এটা খুব একটা পুষ্টিকর খাবার নয়। আপনাদের এই সাগুদানা খাবার না খাওয়াই ভালো। এর থেকে এমন খাবার খান যাতে শরীরের পুষ্টি ও বাড়ে এবং ওজন বৃদ্ধি পায়। 

কাস্টার্ড পুডিংঃকাস্টার্ড পুডিং এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। অতিরিক্ত চিনি বা চর্বিযুক্ত খাবার শরীরের খুব একটা ভালো না। অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার  খেলে শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে হয়তো ওজন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। কাস্টার্ড পুডিং যদি চিনি ছাড়া ফলমূল বাদাম ও কিসমিস দিয়ে বানায় সেক্ষেত্রে তখন এই কাস্টার পুডিং পুষ্টিকর খাবার হয়ে যাবে। তখন এটা খেতে পারবেন পুষ্টিকর খাবার হিসেবে। 

ওজন বৃদ্ধির জন্য বাদামের উপকারিতা 

ওজন বৃদ্ধির জন্য বাদামের উপকারিতা অনেক। বাদাম প্রাকৃতিকভাবে ক্যালরি ও পুষ্টিতে পরিপূর্ণ যা শরীরে অতিরিক্ত শক্তির যোগায় এবং স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। বাদাম ক্যালরি ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভালো উৎস। বাদামে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন মনো এবং পলিনস্যাচুরেটেড  ফ্যাট থাকে। এগুলো শরীরের ক্যালরি বাড়াতে সাহায্য করে কিন্তু খারাপ কোলেস্টেরল না বাড়িয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। 

বাদামে প্রোটিন সরবরাহ করে। ওজন বাড়াতে শুধু ফ্যাট নাই প্রোটিন ও প্রয়োজন যাতে পেশি গঠন হয়। বাদামি বিশেষ চিনা বাদাম, কাজুবাদাম প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। বাদাম ওজন বাড়ানোর জন্য অনেক উপকারীও একটি উপাদান। প্রতিদিন নিয়ম করে ৫/৭ করে বাদাম খাওয়া উচিত। বাদাম হজমে সহায়ক ও খুদা বাড়ায়।বাদামে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা বাড়ায়।ফলে খাওয়ার চাহিদা বাড়ে এবং ওজন স্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে।বাদাম এ পুষ্টি উপাদানের যা থাকে 
ভিটামিন  E
ম্যাগনেসিয়াম 
আয়রন
জিংক 
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এই উপাদানগুলো শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সুস্থতা বজায় রাখে। 

বাদাম খালি পেটে স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে পাঁচ থেকে সাতটি কাজুবাদাম,আমন্ড ও চিনাবাদাম খেলে শরীরের ক্যালরি যোগ হয় এবং দিনভর শক্তি পাওয়া যায়। ওজন বাড়াতে কার্যকর। নিচে কোন কোন বাদামে ওজন বাড়তে সহায়ক তা দেওয়া হলো
চিনা বাদাম 
কাজুবাদাম 
আমন্ড 
আখরোট 
পেস্তা 
তবে অতিরিক্ত বাদাম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই আমাদের নিয়ম করে বাদাম খেতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি সমস্যা থাকলে বাদাম  খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য বাদাম একটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম বাদাম নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়ে এবং শরীরও পুষ্টি থাকে। 

বাইরের কোমল পানীয় বা জুস খাওয়ায় ওজন বৃদ্ধি

বাইরের কোমল পানীয় বা জুস খাওয়াই ওজন বৃদ্ধি হয় ঠিকই কিন্তু শরীরের অনেক ক্ষেত্রে অনেক রকমের ক্ষতি হয়ে যায়। জুস বা কোমল পানীয় ওতে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হয় এর ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করে। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো শরীরের ক্ষতি সৃষ্টি করে। খালি পেটে এগুলো ও খেলে শরীরের গ্লুকোজ মাত্রা বেড়ে যায় এজন্য ও ফ্যাট ও খুব দ্রুত হয়। ওজন বৃদ্ধির এগুলো খেলে ওজন বৃদ্ধি ঠিকই হয় কিন্তু শরীরের পুষ্টিকর কোন কিছু হয় না। তাই আমাদের কোমল পানীয় বা জুস নিজেদের তৈরি করে খাওয়াই ভালো। 

একটি ছোট বোতল কোমল পানীয় বা জুস এ ক্যালরির পরিমাণ 150 থেকে 250 হতে পারে।এগুলোতে কোন ফাইবার বা প্রোটিন না থাকায় এগুলো খুব তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং দ্রুত আবার ক্ষুদা লাগে ফলে অতিরিক্ত খাওয়া হয় যা ওজন বাড়ায়। এসব কোমল পানি ও বা জুস এ অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি থাকে। যা আপনাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। বাইরের  কমল পানীয় বা জুস পুষ্টিকর বা স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। এসব জোস বাসায় ফলমূল দিয়ে নিজেরাও তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। তাতে পোষ্টীয় থাকবে এবং শরীরে ওজন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে। 

আমাদের একটা নিয়ম করে কোমল পানীয় বা জুস খাওয়া উচিত। আপনারা নিজেরা ঘরে এই ফলমূল দিয়ে একটি জোস বানিয়ে খেতে পারেন যা ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার জন্য একটা হেলথ  জুস বানিয়ে নিতে পারবে।সকালে নাস্তা সাথে এই জুস টি খেতে পারেন। কমল পানীয় বা জুসে ক্যালরি বেশি থাকায় ওজন বৃদ্ধিতে দ্রুত সাহায্য করে। খালি পেটে বাইরে এ কোমল পানিও বা জুস খাওয়া একদম এড়িয়ে চলা উচিত। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে প্রাকৃতিক ও ঘরে তৈরি খাবার যেমন নিম্বু পানি,চিয়া সিড বা ওটস স্মুদি কিংবা ফল খাওয়াই ভালো। 

চিনি ও মিষ্টি জাত খাবার 

চিনি ও মিষ্টি জাত খাবার খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে। ওজন বৃদ্ধি করার আর একটি চিনি যুক্ত খাবার  খাওয়া। অনেকেই মনে করে চিনি খেলে ওজন বৃদ্ধি হওয়া মানে চিনি যুক্ত খাবার অনেক একসাথে খেয়ে নিব। কিন্তু তা না একটা পরিমাণ মত চিনিযুক্ত খাবার খেতে হবে। চিনিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকার কারণে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করায়। তবে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও খুব একটা ভালো না তাই আমরা পরিমাণ মতো খেতে পারি। 

চিনি ও মিষ্টি জাত খাবার খালি পেটে খাওয়া হলে রক্তে শর্করা মাত্রা  অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এতে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পেলেও খুব দ্রুত তা হ্রাস পায় এবং পুনরায় ক্ষুধা লাগে। পুনরায় ক্ষুধা লাগার কারণে ওজন বৃদ্ধি ক্ষমতা বাড়তে থাকে। ঘনঘন খুদা  অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে এবং ওজন দ্রুত বাড়ে। চিনি যুক্ত খাবার বেকারির অনেক আইটেম মিষ্টি পানি ও কোমল জুস ইত্যাদি এই সমস্যা গুলোকে প্রকট করে তোলে। এসব খাওয়ার ফলে খানিক পর পর ক্ষুধা লাগতে থাকে অতিরিক্ত খোদার কারণ এ আবার খাবার  প্রবনতায় ওজন বৃদ্ধির কাজে সহায়তা করে। 

খালি পেটে উচ্চ মাত্রার চিনি খেলে ইনসুলিন নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং দেহ তা ফ্যাট আকারে জমা করতে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠা নামা করে যা পরবর্তীতে ডায়াবেটিস ইনসুলিন রেসিস্টেন্স  ও  অসুস্থতার  কারণ হতে পারে। এ অভ্যাস  শরীরে স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়া ব্যাহত করে এবং দীর্ঘ মেয়াদের দেহে চর্বি জমা করা প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। তাই আমাদের অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকাই ভালো। চিনি যুক্ত খাবার পরিমান মত খেতে হবে। 

ওজন বাড়ানোর কিছু সর্তকতা 

ওজন বাড়ানো নিয়ে কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। আপনার শরীরের ওজন বাড়ানো দরকার আছে কিনা সেটা আগে আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন। যদি ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয় তবে ওজন বাড়িয়ে স্বাভাবিক আনার প্রয়োজন আছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া এবং মেয়েদের মাসিক না হওয়া। আগে আপনি নিজে ভালো করে বুঝবেন যে আপনার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম আছে। যদি মনে হয় যে স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাহলে   আপনি একজন চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ডায়েট করবেন।অনেক সময় নিজে থেকে ডায়েট করতে চাই শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।

যদি কোন সমস্যার কারণে আপনি মোটা হতে পারছেন না আপনার ওজন কম। তাহলে আপনি একটি সার্টিফিকেট রেজিস্টার ডায়েটিশিয়ান এর থেকে ডায়েট চার্ট করে নিতে পারেন। আপনি যদি আপনার সমস্যা গুলো নিজে থেকে বুঝতে পারেন তাহলে সেগুলো ডায়েটিশিয়ান এর সাথে শেয়ার করে তারপরে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিবেন।অনেকের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি আগের করতে কম খাচ্ছেন আপনার খাওয়ার পরিমাণ কমে গেছে বুঝতে পারছেন তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সমস্যা গুলোর মধ্যে রয়েছে খাবারে অরুচি হওয়া, মুখে ঘা হওয়া, পেট ফাঁপা লাগা, খাবার গেলার সময় ব্যথা হওয়া, অল্প খেলেই পেট ভরে যায় এমন। 

ওজন বৃদ্ধি করার জন্য নিজে থেকে কোন ওষুধ খেতে যাবেন না। এখন ওজন বৃদ্ধি করার জন্য অনেক সাপ্লিমেন্ট অনেক ওষুধ বের হয়েছে। এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত না। ডায়েট চার্ট অনুযায়ী আপনাদের খাবারের আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে থাকবে। ফাইবার যুক্ত খাবার বাদাম কিসমিস শাক-সবজি এগুলো পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া সাথে পানি বা পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণও বাড়াতে হবে। অনেক সময় পেটে গ্যাস হওয়ার কারণে খাবারের অরুচি আসে বা হেতে রুচ আসে না। সবকিছু জেনে তারপর আপনাকে একটি সঠিক ডায়েট চার্ট অনুযায়ী ওজন বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। 

লেখকের মন্তব্যঃখালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে 

আজকের এ আর্টিকেলটি সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়বে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ছিল। এই আটিকেলের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করার ডায়েট চার্ট দেওয়া হয়েছে। আপনি চাইলে এই আর্টিকেল এর দেখে নিজে ডায়েট চার্ট বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ওজন বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করবে। ওজন বৃদ্ধি করার জন্য কিছু সতর্কতা দেওয়া  হয়েছে সেগুলোও মেনে চলবেন। ওজন কম থাকলে সমস্যা ওজন বেশি থাকলেও সমস্যা তাই আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করে শরীরকে সঠিক মাত্রায় সুস্থ রাখতে হবে।শরীর সুস্থ রাখার কাজ হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। 

অতএব,এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করার অনেক উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। আপনি যদি আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন সবার কাছে শেয়ার করে দিবেন। আরো অন্য বিষয় জানতে নিয়মিত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরএস সুমাইয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url